“পাঠাগারের মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রাথমিক ধাপ উন্নয়নকল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার উত্তর লতিবাবাদ ভুইয়া বাড়িস্থ বাদশা ভূইয়া স্মৃতি পাঠাগারে শিশু-কিশোরদের মাঝে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়,গত ২৪নভেম্বর (রবিবার) বেলা ১২ঘটিকায় এক অনাড়ম্বর পরিবেশে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় শিশুসুলভ বই ও সম্মাননা।
এসব প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত করা ও সম্মাননার আয়োজনে ছিলো মফিজ পন্ডিত স্মৃতি পাঠাগার,ইকরা গণগ্রন্থাগার, অথৈ তাথৈ পাঠাগার, জ্ঞানতীর্থ গ্রন্থাগার বাদশা ভূইয়া পাঠাগারের মতো ৫টি প্রতিষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে কিশোরগঞ্জ জেলার সবকটি পাঠাগারে এমন আয়োজন করা হবে বলে বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতির নেতৃবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন।
এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো কামরুল মহিউদ্দিন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের কল্যাণধর্মী এক মানবিক প্রতিষ্ঠান। এতে সভা করেন বিভিন্ন রোগ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের নানা কর্মসূচি উপস্থাপনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ও কিশোরগঞ্জ সংস্কৃতি মন্ঞ্চের সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান। আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথমেই কোরআন তেলাওয়াত করেন জ্ঞানতীর্থ পাঠাগারের ক্ষুদে পাঠক ও সদস্য বুশরা খানম ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাদশা ভূইয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আবদুর রহমান ভূইয়া বাবুল।
আয়োজনটি সার্থক করতে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয় কিশোরগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক মোঃ আজিজুল হক সুমনকে। তিনি এতে উপস্থিত হন এবং পাঠাগারের মান উন্নয়নে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তদুপরি শিশুদেরকে পাঠাগারমুখী করতে এমন প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন করা এক মহৎ উদ্যোগ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান শেখ সেলিম কবীর, কিশোরগঞ্জ জেলার বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ও ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজাউল হাবিব রেজা, মহিনন্দ ইতিহাস ওইতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আমিনুল হক সাদী।
আয়োজকদের মধ্য বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে জ্ঞানতীর্থ গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর অলিক,অথৈ তাথৈ পাঠাগারের সহসভাপতি হারেছুজ্জামান ও ইকরা গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান রুবেল।
অতিথিগণের বক্তব্য ও পরামর্শ গ্রহণ শেষে সঞ্চালক জিয়াউর রহমান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। প্রতিযোগিতার ২টি বিষয় নির্ধারিত ছিলো। একটি হলো চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও অপরটি হলো রচনা প্রতিযোগিতা। রচনা প্রতিযোগিতায় যারা ১ম,২য় ও ৩য় হয়েছে তারা হলো যথাক্রমে মরিয়ম জান্নাত স্মরণ (অথৈ তাথৈ পাঠাগার),জান্নাতুল ফেরদৌস (ইকরা গণগ্রন্থাগার), বুশরা খানম (জ্ঞানতীর্থ গ্রন্থাগার)। রচনায় যারা ১ম,২য় ও ৩য় হয়েছে তারা হলো যথাক্রমে শেখ সায়লা আদবান তানহা (অথৈ তাথৈ পাঠাগার), জাকিয়া সুলতানা চাঁদনী (বাদশা ভূইয়া স্মৃতি পাঠাগার) ও দুজন সমান নম্বর পেয়ে যৌথভাবে ৩য় হয়েছে আবুল হাসনাত ভূইয়া তাসিন (বাদশা ভূইয়া স্মৃতি পাঠাগার), ও মোছাঃ লিজা (ইকরা গণগ্রন্থাগার)।
পাশাপাশি লাইব্রেরিয়ানদের সংগঠিত করা ও পাঠাগার সমূহকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে এসে তা প্রাণবন্ত করে রাখার চেষ্টায় অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য একই অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ বেসরকারি গ্ণগ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি রুহুল আমিনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি প্রফেসর ডাঃ মহিউদ্দিন আহমেদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply